কলকাতা, ৭ জুন (পিটিআই)
মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় বাবা-ছেলে হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
১১ এপ্রিল, ধুলিয়ান-সুতি-শমসেরগঞ্জ অঞ্চলে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে চলা আন্দোলনের মধ্যে হরগোবিন্দ দাস (৭৪) ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস (৪০)-এর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই দাঙ্গায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন, পাশাপাশি শতাধিক পরিবার ঘরছাড়া হন।
৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই অশান্তিতে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়, যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধের ৫৫ দিনের মধ্যে জেলা আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে এবং তাতে ১৩ জনের নাম রয়েছে।
হিংসার পরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন থানায় ৬০টিরও বেশি এফআইআর-এর ভিত্তিতে ৩০০-রও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ, বেটবোনা গ্রামে দাস পরিবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুষ্কৃতীরা মূল দরজা ভেঙে চন্দন ও হরগোবিন্দ দাসকে টেনে বের করে পিঠে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। একজন দুষ্কৃতী reportedly পাহারায় দাঁড়িয়ে ছিল, যাতে তাঁরা পালাতে না পারেন বা বাঁচতে না পারেন।
চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা—যেমন হত্যা, দাঙ্গা, বাড়ি ভাঙচুর, ডাকাতি—এবং অস্ত্র আইনের ধারাও যুক্ত হয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত জিয়াউল শেখ সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে বিচারিক হেফাজতে রয়েছে।
হাইকোর্টের গঠিত ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি জানিয়েছে, ওই ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ও অনুপস্থিত ছিল, স্থানীয়দের ডাকে সাড়া দেয়নি।
বেটবোনা গ্রামে ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে এবং তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দায়ী করে