মুম্বাই, ৬ জুন (পিটিআই) — মুম্বাইয়ের একটি আদালত নকল বোম্বে হাইকোর্ট আদেশ দেখিয়ে ২.৫৭ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার শহরের এক আইনজীবীর জামিন আবেদন খারিজ করেছে। আদালত তার আচরণকে “অস্বাভাবিক” বলে উল্লেখ করেছে।
অভিযুক্ত বিনয় খাতু ইতিমধ্যেই আইএএস অফিসারের ভান করে প্রতারণার দুটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত সেশন জজ ভি জি রাঘুবংশী ৩ জুন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
খাতুকে গত বছরের ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি বিচারিক হেফাজতে রয়েছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযোগকারী উর্মিলা তালয়ারখান খাতুকে তার বিভিন্ন মামলা, বিশেষ করে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেন। খাতু তাকে নকল হাইকোর্ট আদেশ দেখিয়ে ২.৫৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
উর্মিলা পরে অন্য এক আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে জানতে পারেন যে খাতু যে আদেশ দেখিয়েছেন তা নকল। বোম্বে হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে তিনি দেখেন তার দ্বিতীয় আপিলের কোনো শুনানি হয়নি। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তের পক্ষে বলা হয়, অভিযোগ অস্পষ্ট এবং অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে। তারা আরও দাবি করে উর্মিলা একজন অভিজ্ঞ মামলা কর্তা এবং তার বিরুদ্ধে অনেকবার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বলেছে, “মানুষ আইনজীবী নিয়োগ করে কারণ তারা আদালতের পদ্ধতি ও আইনের প্রকৃতি বুঝতে পারে না।”
আদালত উল্লেখ করেছে, খাতু আইএএস অফিসারের ভান করার জন্য আগেও দিল্লি ও কেরালায় মামলা হয়েছে এবং তার পূর্বের অপরাধগুলো উপেক্ষা করা যাবে না।
আদালত বলেন, “যদি এই আদালত অভিযুক্তের পক্ষে বিবেচনা করে, তাহলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। অভিযোগের গুরুতরতা ও অভিযুক্তের পূর্ব ইতিহাসের কারণে আমি তাকে জামিন দিতে পারছি না।”
অভিযোগে বলা হয়েছে, খাতু নকল আদেশ দেখিয়ে উর্মিলাকে বিশ্বাস করিয়ে মোট ২.৫৭ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে স্থানান্তর করিয়েছেন, যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।
এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ (বিশ্বাসঘাতকতা) ও ৪৬৭ (মূল্যবান দলিল নকল) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতে অভিযোগকারী ও তার চালকের সাক্ষ্য অনুযায়ী, নকল আদেশ দেওয়ার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দুই দশকের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের গুরুতর অভিযোগের মুখে জামিন দেওয়া অনুচিত বলে আদালত বিবেচনা করেছে।
এই মামলায় খাতুর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনিকেত নিকম, কৌশল্যা পাটিল, স্মিতা সোনাওয়ানে, বৈশালী রাজকর্ণে এবং পুষ্পা গনেদিওয়ালা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অজিত চব্বান। অভিযোগকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রিজওয়ান মর্চেন্ট ও রামিজ শেখ। PTI AVI BNM
Category: Breaking News
SEO Tags: #swadesi, #News, Bail of lawyer held for cheating client of Rs 2.57 cr with fake HC orders rejected